আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চোট নিয়েই খেলতে চান সাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের দিন বড় দুশ্চিন্তা ভর করে বাংলাদেশ শিবিরে। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়েন টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। টিভি স্ক্রিনে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, খানিকটা অস্বস্তিতে ভুগছেন। 

ম্যাচ শেষে তাই তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে জানা যায় ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ উরুর মাংসপেশিতে টান খাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন সাকিব। 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়া সাকিব চোট নিয়েই খেলতে চান। তবে তাকে নিয়ে বড় ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।

সোমবার পুনেতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, সাকিব এই ম্যাচ খেলে বড় ইনজুরিতে পড়ুক, সেটা চাই না। তবে আরও একবার স্ক্যান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সুজন বলেন, ধীরে ধীরে হাঁটা ও মাঠে দৌড়ানোর মধ্যে পার্থক্য আছে। যেহেতু সে গত ম্যাচে রান নিতে গিয়েই ব্যথাটা পেয়েছে। কালকে হয়ত এটা দেখবে। চোট পাওয়ার পরেও ব্যাটিং করেছে, ১০ ওভারের কোটার বোলিংও করেছে। যদি সে নিজেকে কম্ফোর্টেবল মনে করে তাহলে খেলবে। সাকিব চাইছে খেলতে। আমরা চাই না (তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে)। এটা ডিপেন্ড করে ওর শতভাগ ফিটনেসের ওপর।

তিনি আরও বলেন, টুর্নামেন্টের ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে আমরা চাই না একটা ম্যাচ খেলে পুরো টুর্নামেন্ট মিস করুক। ডাক্তার-ফিজিওদের ওপর এটা নির্ভর করছে। কোচের মতামতের ব্যাপার না এটা। আমরা চাই না যে এটা খেলে সাকিবের ক্যারিয়ারের জন্য সমস্যা হোক বা লম্বা সময়ের জন্য বিপদে পড়ুক। আমরা চাই যে সাকিব যদি চায় এবং ফিজিওদের মত থাকে তাহলে সে খেলবে। এই ম্যাচ যদি তাকে ছাড়াই খেলতে হয় তাহলে আমরা খেলব।

এর আগে শনিবার (১৪ অক্টোবর) সাকিবের চোট নিয়ে ফিজিও বায়েজিদ ইসলামের এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিসিবি। 

সেখানে তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় বাঁ উরুর মাংসপেশিতে টান খাওয়ায় অস্বস্তিতে থাকেন সাকিব। এরপর তিনি ফিল্ডিং করেন এবং ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেন। ম্যাচ শেষে তার এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। আগামী ম্যাচগুলোর পূর্বে তার ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা ক্লিনিক্যালি তার প্রতিদিনের অগ্রগতি মূল্যায়ন করব এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’